ব্রণের দাগ কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

ব্রণের দাগ একটি খুব সমস্যাকর ব্যাপার।

আগে জেনে নি ব্রণের দাগ কাদের হয় ও কিরকম হয়:

  • ব্রণের দাগ কালো-বাদামি ছোপ হতে পারে, পুরোনো হয়ে গেলে। অনেকে ফর্সা হলে তাদের মুখে লাল erythematous দাগও হয়।
  • আপনার যদি পিগমেন্টেশন বা কালো দাগ হওয়ার টেন্ডেন্সি বা ঝোঁক থাকে, কেটে যাওয়ার পর, পুড়ে যাওয়ার পর অনেক দিন দাগ হয়ে থাকে, মেলাতে চায়না, তাহলে আপনার ব্রণের দাগ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বেশি রোদ লাগলে দাগ বেড়ে যেতে পারে।
  • সাধারণভাবে ভাবে ব্রণের দাগ সময়ের সাথে কমে যায়, তবে অনেকের সহজে কমতে চায়না, তাদের চিকিৎসা করানো উচিত।
  • নতুন ব্রণ বেরোতে থাকলে দাগের চিকিৎসা করানো মুশকিল, কেন না নতুন দাগও হতে থাকবে, এব াগর িকিৎসার ফলে ব্রণ বেরোনো বেড়ে যেতে পারে।
  • অনেকের দাগ ছাড়াও ক্ষত/স্কার হয়, মুখে গর্ত হয়ে যায়। এর আলাদা চিকিৎসা আছে, কিন্তু তার আগেও ব্রণের চিকিৎসা করা জরুরি।
ব্রণের দাগ

কালো-বাদামি ব্রণের দাগ

ব্রণের দাগ

লালচে erythematous ব্রণের দাগ

ব্রণের দাগ

গভীর ক্ষত/স্কার

এবার দেখা যাক প্রতিরোধ করতে আমরা কি করতে পারি:

  • ব্রণের দাগ প্রতিরোধ করার প্রধান পদক্ষেপ হচ্ছে ব্রণের চিকিৎসা করানো। অধিকাংশ সময়ে ব্রণের চিকিৎসা করিয়ে ব্রণ বেরোনো বন্ধ করতে পারলে, পরের কয়েক মাস-বছরে দাগ আস্তে আস্তে হালকা হয়ে যায়। তবে স্কারের ক্ষেত্রে এটি খাটে না কারণ স্কার নিজে নিজে কমে না। বেশি স্কার হওয়া এড়াতে অবশ্য তাড়াতাড়ি ব্রণের চিকিৎসা দরকার।
  • রোদে বেরোনো এড়িয়ে চলতে হবে। সানস্ক্রিন, ছাতার ব্যবহার করতে হবে।
  • ব্রণ খুঁটবেন না। এটা বলে বলে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। খুঁটলে ট্রমা হবে, পার্মানেন্ট দাগ হয়ে যাবে।
  • ত্বকের যত্ন নিন। নিয়মিত ক্লিনজার, ময়েসচারাইজার ব্যবহার করুন। ফেসিয়াল, ব্লিচ করা দাগ বাড়িয়ে দিতে পারে, নতুন ব্রণ বেরোতে পারে; এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • ঘরোয়া রূপচর্চা কিছু কিছু ত্বক পরিষ্কারে ভালো কা দেয়। তবে কালো দাগ তুলতে অতটা কার্যকরী না-যেমন হলুদ বা চন্দন।

ছো দু চার কথা ব্রণের দাগ এবং স্কারের চিকিৎসা সম্পর্কে:

  • ব্রণের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধ ও মলম দেওয়া হয়, বিশেষতঃ রেটিনয়েড, তা দাগও কিছুটা নিরাময় করতে পারে। তবে স্কার কোনো ওষুধ বা মলম দিয়ে সারানো যায়না।
  • কালো-বাদামি দাগের ভালো চিকিৎসা হল কেমিক্যাল পিল (peel)। এতে মুখে এক ধরণের দুর্বল অ‌্যাসিড লাগিয়ে দেওয়া হয় যা ত্বকের ভিতর ঢুকে পিগমেন্টকে ভেঙে দেয় ও উপরের মরা চামড়া তুলে দেয়। নিচ থেকে নতুন উজ্জ্বল চামড়া বেরোয়। এই অ‌্যাসিডগুলি সাধারণতঃ বিভিন্ন ফল, দুধ ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়-যেমন ল্যাকটিক অ‌্যাসিড বা গ্লাইকলিক অ‌্যাসিড। এগুলির পরিশুদ্ধ ফর্ম পিলে ব্যবহার হয়।
  • লালচে দাগ, ত্বকের কোয়ালিটি ভালো করার জন্য লেজার করা যেতে পারে। লেজার ত্বকের পিগমেন্ট তৈরির ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ত্বকের ভাঁজ আসা কমিয়ে অ্যান্টিএজিং লাভ দেয়, ব্রণ বেরোনোর ধাতও কমিয়ে দেয়।
  • স্কার বা ক্ষত চিকিৎসা করার জন্য কেমিক্যাল রিকন্সট্রাকশন, এবলেটিভ লেজার, মাইক্রোনিডলিং ইত্যাদি চিকিৎসা হয়। এগুলিতে ক্ষতর চারপাশের কোষগুলিকে স্টিমুলেট করে নতুনভাবে কোলাজেন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়, যাতে গর্তগুলি ভরে গিয়ে ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে।
ব্রণের দাগ

পিলের পদ্ধতি

এই হলো সংক্ষেপে ব্রণের দাগের গল্প। এবার ত্বক বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে নিজের ত্বকের ত্ন নিন। িজে নিজে েশি এক্সপেরিমেন্ট করবেননা। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *